প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
শরীয়তপুরের পালং উত্তর বাজার এ,কে ইলেকট্রিক হাউজের পরিচালক নাজমুল হাসান নামক এক ব্যবসায়ীর উপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল ২০২৫) দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে শরীয়তপুর জেলা শহরের পালং উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদের সামনে এঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা নাজমুলের মাথা ও কান কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এঘটনা স্থানীয় আনিস উদ্দিন বেপারী ও শাহিন মাদবর সহ কিছু দুষ্কৃতকারী ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন নাজমুলের বাবা আবুল কাশেম মিয়া।
আহত নাজমুলের পিতা আবুল কাশেম মিয়া জানান, শরীয়তপুর জেলা শহরের পালং এলাকার আনিস উদ্দিন বেপারী (৬০), শাহিন মাদবর (৪০) প্রিয় মাদবর (২৭), হৃদয় সরদার (২৬), মনির শেখ (২৬), নাসির হাওলাদার (২৬), শুভ খলিফা (২২) গত ০২/০৪/২০২৫ নাজমুল দাওয়াতে যাওয়ার সময়ে তার উপর হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু কৌশলে সে বেচে যায়। পরে সেই ঘটনার কথা জানিয়ে নিজের ও পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন নাজমুল হাসান।
এরপর থেকেই অভিযুক্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠে; তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৬ এপ্রিল ২০২৫) দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে শরীয়তপুর জেলা শহরের পালং উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদের সামন দিয়ে যাওয়া পথে স্থানীয় আনিস উদ্দিন বেপারী ও শাহিন মাদবর সহ কিছু দুষ্কৃতকারী নাজমুলের মাথা ও কান কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুত্ব আহত নাজমুলকে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তিতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসায় জন্য ভর্তি করা হয়। নাজমুল এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এব্যাপারে আবুল কাশেম মিয়া বলেন, আমার ছেলে ও পালং উত্তর বাজার এ,কে ইলেকট্রি ক হাউজের পরিচালক নাজমুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে আনিস উদ্দিন বেপারী ও শাহিন মাদবর গংরা অতর্কিত হামলা করেছে। দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক। হামলাকারীদের উপযুক্ত বিচারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
অন্যদিকে, আনিস উদ্দিন বেপারী ও শাহিন মাদবর সহ অভিযুক্তদের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।